কারণ :
বিড়ালের সংক্রামক পেরিটোনাইটিস (FIP) হল বিড়ালের করোনাভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি বিধ্বংসী রোগ। FCoV হল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের একটি ভাইরাস। এই ভাইরাস বেশিরভাগ সংক্রমণ হয় ডায়রিয়ার কারণে।
ছড়ানোর মাধ্যম :
- বিড়ালের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
- মলের মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের শাধ্যমে সংক্রামিত হয়।দূষিত লিটার স্কুপ বা আক্রান্ত বিড়ালের ব্রাশ অন্য বিড়ালের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
লক্ষণ :
* পেটের বা বুকের ভেতরে তরল জমা হয়।
- বিড়াল শ্বাস-কষ্টে ভোগে।
- ক্ষুদামন্দা।
- দ্রুত ওজন হ্রাস পায়।
- তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ জ্বর আসে।
- ঠিকমতো হাঁটতে বা দাঁড়াতে পারে না।
- দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়।
- ডায়রিয়া এবং জন্ডিস হয়।

রোগ নির্ণয় :
( ক ) রোগের ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ দেখে এ রোগ নির্ণয় করা যায়। এছাড়া
পশুচিকিৎসক নিঃসরণ (শরীর থেকে তরল নিঃসৃত) নমুনায় ভাইরাল RNA
সনাক্তকরণ নিঃসরণ FIP নির্ণয় করে থাকে।
চিকিৎসা :
GS-441524 ট্যাবলেট বা ইনজেকশনযোগ্য প্রোড্রাগ রেমডেসিভির ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে GS-441524 চিকিৎসার মাধ্যমে 80% এরও বেশি বিড়াল সুস্থ্য হয়েছে। অ্যান্টিভাইরাল FIP ভাইরাসের এনজাইম ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতিরোধ :
FIP-তে স্যুইচ সাধারণত ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সের আগে ঘটে না। যদি বিড়ালছানারা প্রাথমিক টিকাদান পর্যায়ে এই নতুন FIP টিকা গ্রহণ করে, তাহলে তাদের রোগের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে সুরক্ষিত রাখা উচিত।